স্টকহলমের স্কুল ছাত্রী গ্রেটা থুনবার্গ পরিবেশ রক্ষার দাবির প্ল্যাকার্ড নিয়ে সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে ধর্নায় বসেছিল। তাকে ঘিরে বিশ্বে তরুণ পরিবেশ কর্মীদের ‘ফ্রাইডেজ় ফর ফিউচার’ আন্দোলন দানা বেঁধেছে। কিন্তু ভারতে পরিবেশ রক্ষার দাবিতে তরুণদের সেই আন্দোলন কেন্দ্রীয় সরকারের তোপের মুখে পড়ল। অপরাধ, কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রীর কাছে অনেক ইমেল পাঠানো হচ্ছিল।
দিল্লি পুলিশ এ দেশে ‘ফ্রাইডেজ় ফর ফিউচার’ আন্দোলনে যুক্ত তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের ‘হুমকি’ দিয়ে নোটিস জারি করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হতে পারে। মূলত সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করা হয়ে থাকে। বিনা নোটিসে ওই সংগঠনের ওয়েবসাইট-ও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশের নোটিসের বক্তব্য, ‘ওয়েবসাইটে আপত্তিকর বিষয়বস্তু রয়েছে, তাতে বেআইনি কার্যকলাপ বা সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম দেখানো হয়েছে। যা ভারতের শান্তি ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক’।
কী অপরাধ ওই পরিবেশ কর্মীদের? কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক সম্প্রতি কোনও প্রকল্পে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এ বিষয়ে যে কেউ তাঁর মতামত জানাতে পারেন। পরিবেশ কর্মীদের আপত্তি ছিল, এই বিজ্ঞপ্তি জারি হলে প্রকল্পের ছাড়পত্র দেওয়ার আগে পরিবেশে তার ক্ষয়ক্ষতি দেখার শর্ত লঘু হয়ে যাবে।
The French Revolution was one of the bloodiest events in modern history. Between 1789 and 1799, French men and women went through dramatic changes in their social and political systems: They overthrew a monarchical system built on aristocratic and church privilege and attempted to replace it with a more democratic vision of society. But hundreds of thousands of men, women, and children in France paid for these political and social transformations with their lives.
Though most people associate French revolutionary violence with the guillotine – a new-fangled contraption that efficiently killed an individual by lopping off his or her head in a single slice – bloodshed happened throughout the revolution in different ways. People attacked one another on the streets, in prisons, and even in churches. Men and women in the royal family, aristocracy, and the church were slain for their association with the Old Order. The lucky ones lost their heads. As the revolution progressed, various factions turned on each other; there was no single vision of a post-revolutionary world.
Was the entire French Revolution a bloody mess? Well, no. The French Revolution brought about important political and social changes that are still relevant today. But the fact remains that the revolution played out against a backdrop of violent upheaval.
Horrific French Revolution tales still have the power to shock and disturb even centuries after the events. These moments stand alongside brutal 21st-century rebellions, horrible things done by the Catholic Church, and terrible torture methods as moments in history when the dark side of human nature was laid bare for all to see. This most violent revolution was not just about egalité, fraternité, and liberté – it was actually more like egalité, liberté, and brutality.
Everyone remembers China’s “Tank Man,” who stood with bags in his hands, blocking a line of tanks withdrawing from Tiananmen Square a day after the fatal June 4, 1989, military crackdown against pro-democracy protesters.
Thirty years later, Fang Zheng wonders why the tanks stopped for that man, but rolled right over him as he and other students soberly retreated west along Changan Avenue after leaving Tiananmen Square in the early hours of that fateful day.
He remembers his trouser leg getting trapped in the tank’s caterpillar track and the feeling of being dragged along the ground before he managed to wrench himself free. He remembers looking at the mangled bone and blood of his crushed legs.
India’s COVID tally crossed 14 lakh-mark on Monday with 708 deaths and highest single-day spike of 49,931 cases in last 24-hours.
According to the Health Ministry, the total coronavirus positive cases now stand at 14,35,453 including 4,85,114 active cases, 9,17,568 cured/discharged/migrated and 32,771 deaths.
Over 500 cases of child marriage were reported in West Bengal since mid-March when the nationwide COVID-19 lockdown was imposed, officials said, claiming that in most cases, underage girls were married off by families who lost their earnings due to the shutdown.
Despite restrictions in travel and movement, there has been no let-up in child marriages over the past few months, although the West Bengal Commission for Protection of Child Rights has thwarted several such cases upon receiving complaints, she said.
At least 22 cases of child marriage were registered this month at the WBCPCR helpdesk, which was set up on June 1, amid reports that the illegal practice was rampant in several parts of the state, Moumita Chatterjee, a consultant of the statutory body, told PTI on Monday.
Earlier this year, UNICEF had released a report stating that the number of girls getting married in India had halved. Despite this drop, nearly 1.5 million girls in India get married before they turn 18. Child marriage remains a social evil that India has seemingly had a hard time eradicating.
February 2023
M
T
W
T
F
S
S
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
20
21
22
23
24
25
26
27
28
The legal age of marriage in India is 18 for women and 21 for men. Last year the Supreme Court ruled that sex with an underage wife constituted rape.
Despite all the recent conversation about protecting our young girls following the horrific gangrape and murder of an eight-year-old in Kathua, certain influential politicians and lawmakers in Madhya Pradesh continue to condone and support such the pernicious practice of child marriage. https://www.thebetterindia.com/138496/india-child-brides-marriage-law-posco/
Child marriage widespread in Bihar, Rajasthan and Bengal: Unicef report
Although child marriages in India have declined, a few states like Bihar, West Bengal and Rajasthan continue to carry on with the harmful practice and there is nearly 40 per cent prevalence in these states, the Unicef said.
Bengal Tops In Child Marriages: Family Health Survey Report
In a decade since the last National Family Health Survey took place, the whole story of child marriages have changed in India. And while some states, including Uttar Pradesh and Bihar, showed exceptional growth, a total of 11 states still have a significant percentage of child marriages happening, which are above the current national average of 11.9%. The latest NFHS-4 report — conducted in 2015-16 — revealed that West Bengal tops the list of states having the most number of girls being married off between 15-19 years of age at 25.6%. https://www.shethepeople.tv/news/bengal-tops-child-marriage/
Bengal shows the highest prevalence of child marriage
On this day, 25 July 1972, the US government admitted its role in the Tuskegee syphilis experiment, a horrific 40 year study of poor Black agricultural workers in Alabama who had syphilis but were not informed. Numerous people died as a result, and women and children were infected with the disease. The government owned up following leaks to the media about the programme. The resulting public outrage forced the introduction of federal regulation to protect human subjects in medical trials.
Bangladesh Prime Minister Minister Sheikh Hasina on Wednesday announced she will be abolishing the quota system for government jobs. The decision is being viewed as a victory for tens of thousands of students and job-seekers who came out in protest against the reservation policy for special groups. This was one of the biggest protests that Bangladesh witnessed during Ms Hasina’s decade-old rule and such united mass protests is rarely seen on such a scale in the country. As protesters swelled the streets of Dhaka, the police responded with rubber bullets and tear gas, leaving close to a hundred people injured, police said. https://www.ndtv.com/
এমন লকডাউন দূরে থাক, বন্ধেও এমন ছবি রাজ্য শেষ কবে দেখেছে, বলা কঠিন! সাগর থেকে পাহাড়, কলকাতা থেকে কোচবিহার— সর্বত্রই পথঘাট সুনসান। জরুরি পরিষেবা ছাড়া প্রায় সবই বন্ধ। যে দু’চার জন বাইরে বেরিয়েছিলেন, তাঁদের বারবার পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। জবাবে সন্তুষ্ট না-হলে কোথাও পুলিশ গ্রেফতার করেছে, কোথাও আটক। তা ছাড়া লাঠিপেটা, কানমলা বা কান ধরে ওঠবোসের মতো শাস্তি তো ছিলই। সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে দু’হাজারের বেশি লোককে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছে। কলকাতায় সেই সংখ্যা ৮৮৬।
ফাঁকা: সংক্রমণ রুখতে সপ্তাহে দু’দিনের সার্বিক লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার, তার প্রথম দিনে সুনসান ধর্মতলা চত্বর।
চার মাস ধরে দফায় দফায় লকডাউন এবং তার পরে আনলক পর্বে নিত্যদিনই দেখা গিয়েছে বিধি ভাঙার দৃশ্য। পুলিশের ‘নরম’ মনোভাব নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফের সার্বিক লকডাউনের প্রথম দিন যেন সেই সব অভিযোগ ভুলিয়ে দেওয়ার পণ করেই পথে নেমেছিল পুলিশ।
এমনটা যে হবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তা জানতেন না। মুখ্যসচিব রাজীব সিংহও বুধবার রাত ন’টায় নির্দিষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবারের লকডাউনে উড়ান বা ট্রেন চালানোর অনুমতি রাজ্য সরকার দিচ্ছে না। কিন্তু এ দিন কলকাতায় বিমান যে শুধু ওঠা-নামা করেছে, তা-ই নয়, সকাল থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে যে ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে পূর্ণমাত্রায় সরকারি বন্দোবস্তের প্রমাণ ছিল। যার অর্থ— রাজ্য সরকার বিমান চালানোর ছাড় দিয়েছে।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার তফাতে সিদ্ধান্ত বদল কেন হল, তা নিয়ে নবান্নে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধ সত্ত্বেও কার নির্দেশে এ দিন বিমান ওঠা-নামা করল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মুখ্যসচিবের ভূমিকা। সূত্রের খবর, তাঁকে অন্ধকারে রেখে কেন এটা হল, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা গোপন করেননি। সে কথা তিনি মুখ্যসচিবকেও সরাসরি জানিয়েছেন। বিষয়টি জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে ফোন, এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়। জবাব মেলেনি।
হয়েও হল না! অতিমারির মোকাবিলায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বেসরকারি চিকিৎসক সংগঠনের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। সেই বার্তায় সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন এমন সতেরো জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নামের তালিকা স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জমা দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম (ডব্লিউবিডিএফ)। সরকারি পরিকাঠামোয় কর্মপদ্ধতির রূপরেখা নির্ধারণে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে তাঁদের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্যের ফোন পাওয়ার পরই চিকিৎসক সংগঠনটি মত বদল করে বলে খবর।
চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, প্রতি দিন যেখানে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রাজ্যবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে তখন এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, এদিন চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৪৩৬। করোনা পজ়িটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। তার মধ্যে শুধু কলকাতার বাসিন্দা রয়েছেন ১৯ জন। কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা কার্যত আটশোর (৭৯৫) ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছে হাওড়া (৩০৩)। উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪৫ এবং ১৭৩ জন।https://www.anandabazar.com/state/doctors-meeting-got-cancelled-despite-of-increasing-corona-cases-in-bengal-1.1180271
কোভিড-বর্জ্য নিয়ে ৭ পুরসভাকে চিঠি
কোভিড বর্জ্য সংগ্রহ ও তা নষ্ট করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই মর্মে কলকাতা পুরসভা-সহ আসানসোল, দুর্গাপুর, হাওড়া, বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি পুরসভাকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন দফতরের যুগ্মসচিব জলি চৌধুরী। সূত্রের খবর, অন্যান্য পুরসভা এবং পরিবেশ দফতরেও চিঠির প্রতিলিপি গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে কোভিড বর্জ্য ও তার বিপদ নিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। পরিবেশকর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’ এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
পরিবেশ আদালতের মামলায় মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ যে হলফনামা দিয়েছিলেন তাতে বলা হয়েছিল জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টন কোভিড-বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ম মেনে নষ্ট করার কথাও জানান। প্রশাসনের একাংশের মতে, একে তো মামলা এবং যে ভাবে কোভিড ছড়াচ্ছে তাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা আরও এক বার স্মরণ করাতে চেয়েছে পুর দফতর। রাজ্য সরকার সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই নিয়ম মেনে পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে এই বর্জ্য নষ্ট করানো হচ্ছে।https://www.anandabazar.com/state/letter-to-7-municipality-about-covid-waste-1.1180287
করোনা-জয়ীকে হেনস্থা, ত্রাতা তেহট্টের পুলিশ
শত প্রচার, সচেতনতা অভিযান সত্ত্বেও কিছু মানুষের মানসিকতা কিছুতেই বদলানো যাচ্ছে না। লড়়াইটা রোগের বিরুদ্ধে, রোগীর বিরুদ্ধে নয়—এই সারমর্ম তাঁদের হৃদয়াঙ্গম হচ্ছে না।
করোনায় মৃতের অন্ত্যেষ্টিতে প্রথমে স্থানীয়দের বাধা। তারপর সর্বদল বৈঠক। জট অবশ্য তাতেও পুরোপুরি কাটল না। বাধার মুখে দাহের বদলে কবর দেওয়া হল মৃত বৃদ্ধকে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের কোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধ কলকাতায় কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে কর্মস্থলে যান এবং জ্বরে পড়েন। গত শনিবার বাড়ি ফেরেন তিনি। সোমবার বৃদ্ধকে কোলাঘাটের পাইকপাড়ি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। নেওয়া হয় লালারসের নমুনা।
কোভিড-ভীতি কী ভাবে রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত এক কলেজ ছাত্রের অভিজ্ঞতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অ্যাম্বুল্যান্সের অপেক্ষায় যাদবপুর থানার উল্টো দিকের ফুটপাতে বসে থাকার পরে হাল ছেড়ে দিয়ে হেঁটেই এম আর বাঙুরের উদ্দেশে রওনা হলেন তিনি। আর এই পরিস্থিতির জন্য ভাড়াবাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার ভয়ই দায়ী বলে জানালেন আক্রান্তের বান্ধবী।
গত পাঁচ দিন ধরে জ্বর, গলা খুশখুশের উপসর্গে ভুগছেন ওই ছাত্র। বুধবার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ দিন বিকালে রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। উপসর্গের মাত্রা শুনে আক্রান্তের ঠিকানায় অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর কথা বলে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু পাড়ায় স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকলে তাঁকে বাড়ির মালিক বার করে দেবেন, এই আতঙ্কে আক্রান্ত স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়ে দেন, অ্যাম্বুল্যান্স আসার প্রয়োজন নেই। তিনি নিজেই বাঙুরে চলে যাবেন।
এ দিন সন্ধ্যার কিছু আগে গড়ফা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। কিন্তু লকডাউনের বাজারে কোনও গাড়ি না-পেয়ে হেঁটে যাদবপুর থানা পর্যন্ত যান। অভিযোগ, সন্ধ্যা সাতটা থেকে ঘণ্টা তিনেকের বেশি সময় আক্রান্ত থানার কাছে বসেছিলেন! আক্রান্তের বান্ধবী জানান, বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স সাড়ে ছ’হাজার টাকা চাইছিল। অত টাকা তাঁদের কাছে ছিল না। পুলিশকে গাড়ির ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘ওসি স্বাস্থ্য দফতরের এক জনের নম্বর দিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকবার ফোন করার পরও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা হয়নি।’’https://www.anandabazar.com/state/infected-on-the-way-to-hospital-on-foot-1.1180280
পরিকল্পনার ত্রুটিতেই কি শয্যা-সঙ্কট
কত আছে? কত প্রয়োজন? সংক্রমণ বৃদ্ধির হারের নিরিখে পরিকাঠামো কি পর্যাপ্ত? হাসপাতালের শয্যা-সঙ্কটে আপাতত এই প্রশ্নাবলির মুখে বঙ্গ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শয্যার জোগানে সমস্যা কোথায়, স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনেই তার আভাস রয়েছে। বুলেটিন জানাচ্ছে: রাজ্যে মোট কোভিড শয্যার সংখ্যা ১১,২৩৯। আর ১০৬টি সেফ হোমে ৬৯০৮ জনকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা চিকিৎসায় শয্যা ১৮,১৪৭টি। হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, বুধবার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা (১৮,৪৫০) ধরলে ৯৮.৬৫% শয্যাই ভর্তি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, এ রাজ্যে করোনা রোগীদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ ৫% এবং মাঝারি মানের অসুস্থ ৮%। মোট ১৩%। বুধবারের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার বিচারে ৫% গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৯২৫টি আইসিইউয়ের প্রয়োজন হতে পারে। বুলেটিন বলছে, কোভিড হাসপাতালগুলিতে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৯৪৮টি।https://www.anandabazar.com/state/coronavirus-in-west-bengal-why-so-much-bed-crisis-in-bengal-1.1180261
অভিযোগ উত্তর থেকে দক্ষিণে, চেয়েও মেলে না অ্যাম্বুল্যান্স
চাহিদার তুলনায় সংখ্যায় কম। থাকলেও, মিলছে না। মিললেও যে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে, তা অনেক বেশি। করোনা-আবহে সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে মিলছে নানা অভিযোগ।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার এক রোগীকে নিয়ে আত্মীয়েরা কল্যাণী যেতে চাইছিলেন। পরিজনদের অভিযোগ, আগে এই দূরত্ব যেতে দেড় হাজার টাকা নিত বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স। এ দিন আড়াই হাজার টাকা চান চালকেরা। দাবি করেন, গাড়ি ‘স্যানিটাইজ়’ করায় খরচ বেড়েছে। বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। শেষে ২,৩০০ টাকায় রফা হয়। কাটোয়ার শ্রীবাটি গ্রামের সুধীর সাহা জানান, পেটে ব্যথা হওয়ায় তাঁর ভাইপোকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রোগী ছুটি পাওয়ায় বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করতে যান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেউ যেতে চাইছিলেন না। শেষে এক জন ২৫ কিমি রাস্তা যেতে দু’হাজার টাকা চান!’’https://www.anandabazar.com/state/coronavirus-in-west-bengal-covid-and-non-covid-patients-are-facing-ambulance-crisis-in-whole-state-1.1180265
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তা চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের আধিকারিক থেকে চিকিৎসকদের। ৩৯-৪০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে দৈনিক বৃদ্ধি বৃহস্পতিবার এক লাফে বেড়ে হয়েছিল প্রায় ৪৬ হাজার। শুক্রবার তা পৌঁছে গেল ৪৯ হাজারে! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৩১০ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এক দিনে আক্রান্তের নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৬০২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এক দিনের নিরিখে যা সর্বোচ্চ।
আক্রান্তের পাশাপাশি সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ১৩.৯৮ শতাংশ।
কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের বর্ধিত দাম নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল সংসদীয় কমিটি। এ বার চিকিৎসকদের একাংশের ভূমিকার সমালোচনা করল কেন্দ্রের ওষুধ বিষয়ক দফতর। কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের অধীন এই দফতরের কর্তাদের মতে, দরকার না-থাকলেও কোভিডের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি ব্যবহারের সুপারিশ করছেন অনেক চিকিৎসক। ফলে দেশে ওষুধগুলির কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভিয়ার-এর একটি ভায়াল মুম্বইয়ে ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন প্রয়োজন থাকলে তবেই কোভিডের ওষুধ সুপারিশ করেন।
লকডাউন-বিধি ভাঙলে ২ বছরের জেল, ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, ঘোষণা ঝাড়খণ্ডের
লকডাউনের বিধিনিষেধ নিয়ে কড়াকড়ি হলেও বহু মানুষ এখনও বেপরোয়া। তবে এ নিয়ে কোনও রাজ্যই কড়া শাস্তির কথা ঘোষণা করেনি এখনও। এ বার সে রাস্তায় হাঁটল ঝাড়খণ্ড। ওই রাজ্যের হেমন্ত সোরেনের সরকারের ঘোষণা, লকডাউনের বিধিনিধেষ অগ্রাহ্য করলে দোষীর দু’বছর পর্যন্ত জেল বা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। দেশের মধ্যে ঝাড়খণ্ডই প্রথম রাজ্য, যা করোনা রুখতে এতটা কড়া পদক্ষেপের করল।
লকডাউন অগ্রাহ্য করলে শাস্তির বিষয়ে একটি অধ্যাদেশের অনুমোদন করেছে ঝাড়খণ্ড ক্যাবিনেট। হেমন্ত সোরেনের সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে করোনা রুখতে যে সমস্ত বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে, তা ভঙ্গ করলে শাস্তি হিসেবে ‘ঝাড়খণ্ড সংক্রামক রোগ অধ্যাদেশ ২০২০’ তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি নোটে বলা হয়েছে বলা হয়েছে, ‘‘এই মুহূর্তে কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় মানুষজনের যাতায়াত, মাস্ক না পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা, প্রকাশ্যে থুতু ফেলা এবং বিয়েবাড়ি বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে জমায়েতের বিরুদ্ধে কোনও আইন নেই। এই অধ্যাদেশের ফলে সেগুলি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। যে হেতু ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অধিবেশন চলছে না, সে হেতু অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই আইন করা হয়েছে।’’https://www.anandabazar.com/national/coronavirus-lockdown-hemant-soren-announces-jail-penalty-for-violating-lockdown-in-jharkhand-dgtl-1.1180011?ref=sectionpage-more-stry
পিএইচডি করা সব্জি বিক্রেতার ইংরাজিতে প্রতিবাদ ভাইরাল
ইনদওরে সব্জি বিক্রি করেন মেটেরিয়াল সায়েন্সে পিএইচডি করা আনসারি।
পুরসভার লোকেরা রাস্তার ধারে সব্জি বিক্রি করতে বাধা দিয়েছে। ঝরঝরে ইংরাজিতে তার প্রতিবাদ করছেন এক মহিলা সব্জি বিক্রেতা। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই মুগ্ধ হয়েছেন নেটাগরিকরা।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা সব্জি বিক্রেতার নাম রাইসা আনসারি। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের বাসিন্দা তিনি। তাঁর ইংরাজি শুনে সেখানে উপস্থিতরা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তাঁর উত্তরে সব্জি বিক্রেতা দাবি করেন, তিনি ইনদওরের দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেটেরিয়াল সায়েন্সে পিএইচডি করেছেন।